তুমি উঠে দাঁড়াও
তুমি উঠে দাঁড়াও
তোমরা শরীরের রক্ত দিয়ে
ঘামের প্ৰতিটি বিন্দু ঝরিয়ে
খেতের বুকে , নদীর ধারে
কতোই বা লিখবে ইতিহাস
ইতিহাস ও এখন পণ্য
বাজারে নিলাম হয়
উত্তৰ প্ৰজন্মই ডাকচে তোমায়
তুমি উঠে দাঁড়াও
নতুন ইতিহাস পাথরে লেখো
ঐতো এখনো তোমার হাতে জ্বলছে
লেনিনের হাতুর কাঁচি
তুমি কি পারবে না
সম্রাজ্যবাদকে ভেঙে চুরে
ধুলোয় মিশাতে ?
আর কতো দিন বাচবে মাথা নিচু করে?
আর কতো দিন শুনবে
অশ্ৰব্য গালিগালাজ
বাপ দাদার রক্ত মাখা
পবিত্ৰ ভূমিতে আর কতদিন
সান্ত্বনা নিবে ইতিহাস বুকে চেপে?
অন্ধকারে বসে সান্ত্বনা নেয়ার
সময় এখন আর নেই
তুমি উঠে দাঁড়াও
বুকের ভিতর জমানো বারুদগুলো
বিস্ফোরণ হতে দাও-
শিরায়, শিরায় বয়ে যাক বিপ্লবের আগুন
তুমি কী পারবেনা
নিজের অধিকার টুকু কেড়ে নিতে?
আর কতো দিন তোমার মুখের অন্ন
কেড়ে নিতে দিবে
আর কতো দিন চোখের জলে
শুকনো রুটি ভিজিয়ে খাবে
তুমি যতোই ধৈৰ্য্য ধারণ করবে-
ততোই তোমাকে অন্ধকারে চাপা দিবে
এখন আর সেই সময় নেই
তুমি উঠে দাঁড়াও
অন্ধকার রাজ্য থেকে বের হয়ে
ৰাজপথে ভীড় কর
থর, থর কেঁপে উঠুক ৰাজভবন
হাতুড়ীর আঘাতে ভেঙে পড়ুক
সব সিংহাসন
আর কতো অন্যকে নিজের ত্ৰাণকৰ্তা বানাবে?
আর কতোই বা ভাগ্যকে দোষ দিয়ে
দুই অটুট মাঝে মুখ গুজে বসে থাকবে
তুমি উঠে দাঁড়াও
দেখবে একদিন ঠিক-
তোমার হাতে সূৰ্য্য উঠবে।
Comments
Post a Comment